চর্ম রোগ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন ফাঙ্গাল, ব্যাকটেরিয়াল, ভাইরাল সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা। ত্বকের সমস্যা হলে অনেকেই সঠিক চিকিৎসার অভাবে দীর্ঘদিন ভোগান্তির শিকার হন। এজন্য
চর্ম রোগের ঔষধের নাম সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা জরুরি।
চর্ম রোগের সাধারণ কারণ
চর্ম রোগের সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ। অ্যালার্জি, অতিরিক্ত শুষ্কতা, অতিরিক্ত ঘাম, হরমোনজনিত সমস্যা এবং পরিবেশগত দূষণও ত্বকের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অনিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান ব্যবহারের কারণেও চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে। সংক্রামক রোগ যেমন দাদ, খোসপাঁচড়া, একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদি চর্ম সমস্যার অন্যতম উদাহরণ। সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা না নিলে এসব সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
চর্ম রোগের জন্য ব্যবহৃত ঔষধ
১. অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ
ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্য ক্লোট্রিমাজল, কেটোকোনাজল, টেরবিনাফিন ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত ক্রিম, লোশন, বা ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়।
২. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ঔষধ
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য মুপিরোসিন, ফুসিডিক অ্যাসিড, এজিথ্রোমাইসিন কার্যকর।
এটি ক্রিম বা অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়।
৩. স্টেরয়েড ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ঔষধ
ত্বকের প্রদাহ কমাতে হাইড্রোকর্টিসোন, বেটামেথাসোন, মোমেটাসোন ব্যবহার করা হয়।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহার করা ঠিক নয়।
৪. অ্যালার্জির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন
ত্বকের চুলকানি ও অ্যালার্জির জন্য সিট্রিজিন, লোরাটাডিন, ফেক্সোফেনাডিন উপকারী।
চর্ম রোগের চিকিৎসায় করণীয়
নিজে ওষুধ নির্বাচন না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আক্রান্ত স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।
সংক্রমণজনিত চর্ম রোগ হলে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।
সঠিক ওষুধ ও পরিচর্যার মাধ্যমে চর্ম রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।