বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে
মেয়েদের পিক তোলার প্রবণতাও বেড়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মেয়েরা নিজেদের ছবি শেয়ার করে আত্মপ্রকাশের নতুন একটি মাধ্যম তৈরি করেছে। এটি শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ এবং ব্যক্তিগত স্টাইল প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনেকেই মনে করেন ছবি তোলা কেবলমাত্র সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। একটি ছবি হতে পারে আত্মপরিচয়ের অংশ, যা একজন মেয়ের ব্যক্তিত্ব, রুচি এবং মানসিকতার প্রতিফলন ঘটায়। অনেক মেয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য ছবি তোলে এবং এটি তাদের সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
তবে এই ট্রেন্ডের কিছু ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক রয়েছে। ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা, সৃজনশীলতা এবং ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করার সুযোগ। বর্তমান প্রজন্মের মেয়েরা ছবি তুলতে ভালোবাসে এবং বিভিন্ন ফিল্টার ও এডিটিং টুল ব্যবহার করে নিজেদের মত করে ছবিগুলো উপস্থাপন করতে পারে।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ার করার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। অনেকে বিনা অনুমতিতে ছবি সংরক্ষণ বা অনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারে, যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য হুমকি হতে পারে। এজন্য মেয়েদের উচিত ছবি শেয়ার করার সময় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা এবং যথাযথ গোপনীয়তা সেটিংস ব্যবহার করা।
একটি সুন্দর ও অর্থবহ ছবি তোলার জন্য আলো, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং পোশাকের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। অনেক মেয়ে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের সাহায্য নেয়, আবার অনেকেই নিজের মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে সুন্দর ছবি তোলে।
স্বাভাবিক হাসি, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ভঙ্গি এবং ক্যামেরার সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি একটি ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করার সময় নেতিবাচক মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়, তবে এগুলোকে ইতিবাচকভাবে নেওয়াই ভালো। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করাই গুরুত্বপূর্ণ। কারও ব্যক্তিগত পছন্দ বা রুচির ওপর ভিত্তি করে ছবিকে বিচার করা উচিত নয়।