মানুষ সামাজিক জীব, কিন্তু সবাই সমানভাবে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। সমাজে অনেক ধরণের মানুষ থাকে—কেউ নিঃস্বার্থভাবে অন্যের উপকার করে, আবার কেউ কেবল নিজের স্বার্থের দিকেই নজর রাখে।
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস সাধারণত তাদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়, যারা নিজের সুবিধার কথা চিন্তা করে অন্যদের অনুভূতি উপেক্ষা করে।
স্বার্থপরতা সম্পর্ককে দূরে সরিয়ে দেয় এবং মানুষকে একাকীত্বের দিকে ঠেলে দেয়। এমন অনেক মানুষ আছে, যারা শুধুমাত্র তখনই কারও পাশে থাকে, যখন তাদের স্বার্থ থাকে। কিন্তু যখন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখন তারা দূরে সরে যায়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই স্বার্থপরতা খুবই কষ্টদায়ক হতে পারে, কারণ এটি বিশ্বাসঘাতকতার মতো অনুভূতি সৃষ্টি করে।
নিচে কিছু উপযুক্ত স্ট্যাটাস দেওয়া হলো, যা স্বার্থপর মানুষের বাস্তবতা তুলে ধরে:
"যে মানুষ কেবল নিজের স্বার্থ দেখে, সে কখনো প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না।"
"সময়ের সাথে মানুষ বদলে যায় না, বরং তাদের আসল চেহারা প্রকাশ পায়।"
"স্বার্থপর মানুষরা তখনই তোমার পাশে থাকবে, যখন তোমার কাছে তাদের জন্য কিছু থাকবে।"
"সবাই কথা দেয় পাশে থাকার, কিন্তু দরকার শেষে বেশিরভাগ মানুষ হারিয়ে যায়।"
"নিজের ভালো চাওয়া ভুল নয়, কিন্তু অন্যের ক্ষতি করে এগোনো কখনোই সঠিক নয়।"
একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা থাকা জরুরি। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ দেখলে, সম্পর্কের গভীরতা নষ্ট হয়ে যায় এবং আস্থার অভাব সৃষ্টি হয়। সত্যিকারের বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা তখনই টিকে থাকে, যখন দুই পক্ষ একে অপরের অনুভূতির মূল্যায়ন করে।
এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করাই শ্রেয়। সব মানুষ সমান নয়, তাই স্বার্থপরদের চিনে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা ভালো। কখনো কখনো নীরবতাই তাদের জন্য সেরা উত্তর হতে পারে।
স্বার্থপরতা একটি মানসিকতা, যা সম্পর্ক ও বন্ধুত্বকে ধ্বংস করতে পারে। তাই, সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমন মানুষদের চিনে নেওয়া এবং দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একজন সৎ ও নিঃস্বার্থ মানুষই প্রকৃত বন্ধুত্বের যোগ্য।